১৪ তম সিইসি হলেন সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন
রাজনীতি সর্বশেষ

১৪ তম সিইসি হলেন সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন

নভে ২১, ২০২৪

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রক্রিয়ায় নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জানানো হয় যে, অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনকে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার সাথে আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নতুন সিইসি ও কমিশনারদের পরিচিতি

নতুন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন একজন অভিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য ছিলেন। তার পেশাগত জীবনে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

নতুন নির্বাচন কমিশনের চার সদস্য হলেন:

১.মো: আনোয়ারুল ইসলাম সরকার – সাবেক অতিরিক্ত সচিব, যিনি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

২. আবদুর রহমানেল মাসুদ – অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ, যিনি বিচার বিভাগের একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৩. তাহমিদা আহমেদ – সাবেক যুগ্ম সচিব, যিনি প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৪. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ – একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

 

রাজনৈতিক দলের ভূমিকা

সিইসি নিয়োগের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে যে দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল তার মধ্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন অন্যতম ছিলেন। বিএনপির প্রস্তাবিত আরেক প্রার্থী ছিলেন শফিকুল ইসলাম। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিএনপি তাদের প্রস্তাবিত নাম সার্চ কমিটির কাছে হস্তান্তর করে। বিএনপির অধিকাংশ শরিক দলের তালিকাতেও এই দুটি নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইসি গঠন ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিতর্ক ও আলোচনার বিষয় হয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। সিইসি ও কমিশনারদের এই নিয়োগকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

অনেকেই আশা করছেন, নতুন নেতৃত্ব কমিশনের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও নিরপেক্ষ করে তুলবে। তবে এই নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা ও এর ফলাফল সম্পর্কে ভিন্নমত রয়েছে। বিরোধী দলগুলো কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

নতুন নেতৃত্বের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনগুলো কেমনভাবে পরিচালিত হবে, সেটি দেশের রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *