গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের লড়াই আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল–বদিউল আলম মজুমদার
আইন-আদালত রাজনীতি সর্বশেষ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের লড়াই আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল–বদিউল আলম মজুমদার

ডিসে ১৭, ২০২৪

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে ঐতিহাসিক ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তাঁর মতে, এই রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার নতুন পথ উন্মোচিত হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয় যে, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। আদালত আরও বাতিল ঘোষণা করেছেন এই সংশোধনীতে সংযোজিত ৭ক, ৭খ এবং ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ। এর ফলে সংবিধান পুনরায় জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন বদিউল আলম।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট আবেদন করেন। রিটের শুনানিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনও অংশ নেয়।

রায়ের পর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “এটি একটি সেমিনাল জাজমেন্ট, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের আচরণ ও নীতি পরিবর্তনের ওপর।” তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ মানে শুধু কাঠামোগত পরিবর্তন নয়, বরং আচরণগত ও নৈতিক পরিবর্তনও অপরিহার্য।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির পর দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করার মাধ্যমে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত করা হয়েছিল। আদালতের এই রায় জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার এবং সংবিধানের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সবশেষে তিনি দেশবাসীর জন্য এই জয়কে উৎসর্গ করে বলেন, “চরম প্রতিকূল পরিবেশেও আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের লড়াই আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *